নির্বাচনে সংখ‍্যাগরিষ্ঠতা না পেলে তৃণমূল বিজেপি জোট বাঁধবে সরকার গড়তে : সূর্যকান্ত মিশ্র

23rd February 2021 9:48 am বর্ধমান
নির্বাচনে সংখ‍্যাগরিষ্ঠতা না পেলে তৃণমূল বিজেপি জোট বাঁধবে সরকার গড়তে : সূর্যকান্ত মিশ্র


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : তৃণমূল বিজেপি এরা কি এরা অন্যের বিচার করে, কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠাটা না পেলে জোট বেঁধে সরকার গড়বে। এই বলে আক্রমণ করল তৃণমূল কংগ্রেসকে ,তাই পুরোনো বাম কর্মী যারা তৃণমূলকে দিয়ে বিজেপি বা বিজেপিকে দিয়ে তৃণমূলকে তাড়ানোর কথা ভাবছেন তারা ভুল করছেন। বামেদের আরো ঐক্যবধ্য হয়ে লড়তে হবে। এবারের তৃণমূল বিজেপি মেরুকরণের ভোট হবে না। আবার ত্রিশঙ্কু লড়াই হবে। বিভাজনের রাজনীতির সাথে খেটে খাওয়া মানুষের লড়াই হবে।  কৌশলে পা দিয়ে আমরা ভুল করেছিলাম।    এবার আর ভুল করলে হবে না। ২৮ শে ফেব্রুয়ারি বামেদের বিগ্রেডের দিন প্রধানমন্ত্রী সভা করছেন কেবলমাত্র সাধারণ মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য। এর আগেও বিগ্রেডের দিন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে গ্রেপ্তারের মিথ্যে নাটক করেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তার জন্য ধারনাই বসেছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। কেন্দ্র সরকার লোকডাউন, আনলকের নাটকও আমরা দেখেছি। কিন্তু, লোকডাউনের পর দেশে যে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। মার্চ মাসের মধ্যে তা ২০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। তার কোনো ব্যবস্থা তারা করেনি। বিজেপি দলের সভাপতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দলিতদের বাড়িতে বাড়িতে খেয়ে বেড়াচ্ছেন। ওরা ভারতের সংবিধান মনে না। মনুবাদে বিশ্বাস করে। জাতিভেদ প্রথার প্রচলন করে সমাজে বিভাজন করতে চায়। সারা পৃথিবীর খেটে খাওয়া প্রান্তিক মানুষদের সাথে নিয়ে কেবলমাত্র বামপন্থীরাই আন্দোলনে সামিল হয়েছে। এখন কেন্দ্র কংগ্রেস নেই। তাই তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের জোট করতে হয়েছে। ক্ষমতায় এলে আমাদের লড়াই হবে।                                            বর্ধমানের দেওয়ান দীঘিতে বাম নেতা প্রদীপ তা ও কোমল গায়েনের স্মরণ সমাবেশে এসে এই মন্তব্য করেন সি পি এমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। ২০১২ সালে ২২ শে ফেব্রুয়ারি মর্মান্তিকভাবে খুন হয়েছিলেন এই দুই বাম নেতা। সেই মামলা এখনো অসমাপ্ত। শহীদ নেতাদের স্মরণে এই সভায় তাদের পরিবারের সদস্যরা সহ ছিলেন হয়েছিলেন কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।